সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লক বা স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, কমিশনের (ইসি) অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ একটি চিঠির মাধ্যমে এ তালিকাভুক্ত ১০ জনের এনআইডি লক করেছে।
নথিপত্র অনুসারে, ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীরের মৌখিক নির্দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিষয়টি প্রকাশ পায়।
তবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো নির্দেশ ছিল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
যাদের এনআইডি লক করা হয়েছে- শেখ হাসিনা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ রেহানা, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
এনআইডি লক হলে কার্ডটি আর ব্যবহার করা যায় না। এ ছাড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার হলে বা এনআইডি নিয়ে তদন্ত কাজ চললে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এনআইডি লক করা হয়। অধিকাংশ সময় ভিভিআইপি অনুরোধেও এনআইডি লক করা হয়, যাতে কেউ এনআইডির অপব্যবহার করতে না পারে। তাদের অনুরোধে আবার আনলক করা হয়। তবে এনআইডি লক থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভোট দিতে বা প্রার্থী হতে বাধা নেই।
গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান এবং এখনও সেখানে অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেপ্তারের জন্য রেড এলার্ট জারির আবেদন করা হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।